Su শাক সবজির গুনাগুন
শাক সবজির গুনাগুন বাংলা অ্যাপস টি শাক সবজির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ নিয়ে সাজানো শিক্ষামূলক বই। পরিবার এর সবার সু স্বাস্থ্য টিপস ও সুন্দর জীবন এর লক্ষে আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস , এর মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবার এর সকল সদস্য এর সুসাস্থ এর জন্য উপকারী কিছু টিপস পাবেন ।
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অনেকখানি অংশ জুড়ে রয়েছে শাকসবজি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা ভিটামিন ও খনিজ লবণ এর অভাব পূরণের জন্য সবজির গুণগত মান না জেনেই খেয়ে থাকি। তবে সবজি এর প্রকারভেদ ও স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর বিবেচনা করে শাক-সবজির ভালো দিক ও খারাপ দিক দুটিরই প্রভাব রয়েছে। কোন সবজি কখন ও কী কাজে লাগে তা যদি জানা থাকে তাহলে খুবই ভালো হয়।
যেমন—
প্রত্যেহ তেতো সবজি—করলা ও তেতো পাটশাক খাবারে রুচি বৃদ্ধি করে এবং মেদ ভুরি এর আশঙ্কা কমায়। ভাজা নিমগাছের কচি পাতা খেতে পারেন ফলে ত্বকের চুলকানি ও কৃমি রোধে নিশ্চিত উপকার পাবেন । খেতে বসে প্রথম খাবার হিসেবে যদি তেতো খাওয়া যায়, তাহলে সেটা মুখে লালা ক্ষরণ করে শ্বেতসারকে ভেঙ্গে হজমের সুবিধা করে, ফলে লিভারও ভালো থাকে।
আলু ও টমেটোতে প্যান্টোথেনিক এসিড আছে যা খেলে হাতের তালু এবং পায়ের তালু জ্বালা পোড়া কমে যায়। আবার ধনেপাতা ও পুদিনাপাতার চাটনি এক মাস খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। গাঢ় সবুজ ও হলুদ শাক-সবজি খেলে রাতকানা রোগ, দাঁত গঠনে, হাড় ও এবং স্নায়ুবিক অসুস্থতায় বেশ উপকার পাওয়া যায় । যেসমস্ত শাক-সবজি খেলে রক্তে প্রোথ্রোথিন বাড়ে তা হলো পালংশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি ।
আপনার যদি গেঁটেবাত হয়ে থাকে তাহলে শিম, মটরশুঁটি, বরবটি, পালংশাক, ফুলকপি বর্জন করুন কারণ এগুলোতে পিউরিন বেশি থাকে । আবার ওল, বেগুন খেলেও আমবাতের প্রকোপ বাড়ে।
অজীর্ণ ও ডায়রিয়া জনিত রোগ হলে সবজি বর্জন করা উচিত। বিশেষ করে আঁশযুক্ত সবজি। কারণ, সেলুলোজ দুষ্পাচ্য বলে হজমের ব্যাঘাত ঘটায়।
যাদের গ্যাসট্রাইটিস রয়েছে তারা বাঁধাকপি, মুলা, শিম, শাক, মটরশুঁটি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন কারন তা পরিপাকে অসুবিধা সৃষ্টি করে। আলসারের রোগীরা খাবারের তালিকা থেকে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, ডাঁটা, কাঁচা সবজি, বরবটি, বাঁধাকপি, কাঁচা শসা বাদ দিলে ভালো হয়।
কিডনিতে যাদের পাথর হয়েছে তারা অক্সালিক এসিডযুক্ত সবজি যেমন—টমেটো, শজনেপাতা, কলার মোচা পালংশাক, পুইশাক, বিট, কচু, কচুর শাক, মিষ্টি আলু বাদ দিতে হবে।
গাঢ় সবুজ ও হলুদ সবজি সিদ্ধ করে চালুনি দিয়ে চেলে নরম করে ক্বাথ বের করে খাওয়ানো পাঁচ-ছয় মাসের শিশুদের জন্য খুবই ভালো।
শিশুর জন্ম নেয়ার পর মায়েদের মুখে যে কালো ছোপ পড়ে তা গাজর, বিট, টমেটো, লেটুসপাতা, বাঁধাকপি, মুলা খেলে দূর হয়ে যায়। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব দূর করার জন্য পাকা করলার বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে সাত-আট চা-চামচ পানি মিশিয়ে ছেঁকে খেতে হবে।
তুলসীপাতার রস করে খেতে পারেন গলাব্যথা ও সর্দি-কাশির জন্য খুবই উপকারী। বিট, লালশাক, লেটুসপাতা, কচুর শাক, পালংশাক খুবই উপকারী এগুলো রক্তস্বল্পতা দূর করে। এ ছাড়া পুদিনাপাতার ও ধনেপাতা ভর্তা খেতে পারেন গ্রীষ্মকালে শরীরকে শীতল ও সুস্থ রাখতে চালকুমড়ায়, চিচিঙ্গা, ধুন্দল সবজি ও ঝিঙে খান কারণ এতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে । পরিপাক প্রক্রিয়ায় ভালো ফল পেতে কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন।
আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকা য় শাক সবজির পরিমাণ বৃদ্ধি করুন। আমাদের শিশুরা সাধারনত শাক সবজি খেতে চায়না যদিও এটা তাদের ভিটামিন এর চাহিদা পূরনের জন্য অত্যন্ত জরুরী। শিশুদের শরীর ও মেধার বিকাশে তাদের সুস্থ্য সবল রাখতে শাক সবজির গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যদি নিজেরা শাক সবজির উপকারিতা জানি আর শিশুদের সাথে শেয়ার করি তাহলে যেমন তারা এই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে উৎসাহিত হবে ঠিক তেমনি এটা আমাদের নিজেদের বেলাতেও আগ্রহ তৈরী করবে। তাই আর দেরি না করে ফ্রী ইন্টারনেট থেকে এখনি এই ফ্রী বাংলা অ্যাপস টি নামিয়ে নিন এবং আমাদের বাংলাদেশ এর প্রিয় এবং পরিচিত শাক সবজি এর গুনাগুন সম্পর্কে জানুন। বন্ধুদের ফ্রী এসএমএস করুন অথবা ফেসবুক স্ট্যাটাস এ জানিয়ে দিন। প্রতিদিন ই খাদ্য গুণ নিয়ে বিজ্ঞানী রা নতুন নতুন তথ্য ও তত্ত দিয়ে যাচ্ছেন। এসব সম্পর্কে জানতে বাংলা খবর দেখুন, হেলথ টিপস পড়ুন, ইন্টারনেট এ বন্ধু দের সাথে আলোচনা করুন। বিভিন্ন দেশীয় ও বাংলা রেসিপি সম্পর্কে জানুন। একটি ভালো রেসিপি অথবা রান্না এর টিপস জানা থাকলে আপনি আপনার রান্না য় শাক সবজির সম্পূর্ণ পুষ্টি গুণ অক্ষুণ্ণ রাখতে পারবেন। আপনার প্রতিদিন এর খাদ্য তালিকা য় পরিমাণ মত শাক সবজি থাকলে আপনি আপনার ডাক্তার থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.banglavegetables.vegetablesbenefit
Aggiornamento শাক সবজির গুনাগুন 1.3
শাক সবজি হচ্ছে পুষ্টির অন্যতম আঁধার। অপুষ্টির প্রধান কারণ অপর্যাপ্ত শাক সবজি গ্রহণ। পরিমিত পরিমাণ শাক সব্জি গ্রহণ না করলে শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন বিটা ক্যারোটিন গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষের শরীরে পরিমিত মাত্রায় বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদান। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের সবজি গ্রহণের মাধ্যমে এর চাহিদা মেটানো সম্ভব।
Leggi di Più