ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ নামাজ। ইমানের পর নামাজের চেয়ে গুরুত্ব অন্য কোনো ইবাদতে প্রদান করা হয়নি। কোরআন শরিফে ৮৩ বার নামাজের আলোচনা এসেছে। নামাজ ফরজ হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহপাক বলেন, 'হে নবী! আমার বান্দাদের মধ্যে যারা মুমিন তাদের বলুন, নামাজ কায়েম করতে'। (সূরা ইবরাহিম, আয়াত-৩১)। অন্যত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, 'তোমরা লোকদের সঙ্গে উত্তমভাবে কথা বলবে এবং নামাজ আদায় করবে। (সূরা বাকারাহ, আয়াত-৮৩)। অন্যত্র আল্লাহ ইরশাদ করেন, তুমি বলে দাও, আমার রব ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় তোমাদের মুখমণ্ডল স্থির রেখ। (সূরা আরাফ, আয়াত-২৯)। অন্যত্র বলেন, 'অতএব, আল্লাহকে সিজদা কর এবং তার ইবাদত কর। ' (সূরা নাজ্ম, আয়াত-৬২)। সূরা বাকারার শুরুতে আল্লাহতায়ালা মুত্তাকীদের পরিচয় দিতে ইরশাদ করেন, 'যারা অদৃশ্যের বিষয়গুলোতে ইমান আনে এবং নামাজ কায়েম। ' (সূরা বাকারাহ, আয়াত-৩)। আল্লাহতায়ালা নামাজের উপকার সম্পর্কে ইরশাদ করেন, এবং নামাজের পাবন্দি কর দিনের দুপ্রান্তে ও রাতের কিছু অংশে। নিঃসন্দেহে সৎ কাজসমূহ অসৎ কাজসমূহকে মিটিয়ে দেয়। ' (সূরা হূদ, আয়াত-১১৪)। নামাজের ব্যাপক কল্যাণসমূহের উল্লেখযোগ্য একটি হলো নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, নামাজের পাবন্দি কর। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। (সূরা আনকাবুত, আয়াত-৪৫)। অন্যত্র আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'যারা কিতাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে এবং নামাজ প্রতিষ্ঠা করে আমি এরূপ সৎকর্মশীলদের কর্মফল নষ্ট করি না। ' (সূরা আরাফ, আয়াত-১৭০)। অন্যত্র ইরশাদ করেন, 'মুমিনরা নামাজ আদায় করে, জাকাত আদায় করে এবং আল্লাহ ও তার রসুলের আদেশ মেনে চলে এসব লোকের প্রতি আল্লাহ অবশ্যই করুণা বর্ষণ করবেন। ' (সূরা তওবা, আয়াত-৭১)। সূরা বাইয়্যিনাতে আম্বিয়ায়ে কেরামের দাওয়াতের দ্বিতীয় ধাপ স্বরূপ নামাজকে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, 'তাদের এছাড়া কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহতায়ালার ইবাদত করবে এবং নামাজ কায়েম করবে। ' (সূরা বাইয়্যিনাহ, আয়াত-৫)। যে ব্যক্তি ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ নামাজকে সব শর্তসহ খুশু-খুযুর সঙ্গে নবী তরিকায় আদায় করবে তার এই নামাজ তাকে সব ধরনের অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে। আর খুশু-খুযুর সঙ্গে নামাজ আদায়কারীদের সুসংবাদ দিয়ে আল্লাহ ইরশাদ করেন, নিশ্চয় সব মুমিন নামাজ আদায় করে। ' (সূরা মুমিনূন, আয়াত-১-২)। তাছাড়া নামাজের ব্যাপারে যারা উদাসীন থাকে তাদের ব্যাপারে শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, 'দুর্ভোগ সেসব নামাজির জন্য নিজেদের নামাজের ব্যাপারে যারা থাকে গাফেল। ' (সূরা মাউন, আয়াত-৪-৫)। অন্যত্র আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, '(সেদিন) অপরাধীদের সম্পর্কে পরস্পরে জিজ্ঞাসা করবে যে, কিসে তোমাদের জাহান্নামের ঠেলে দিয়েছে? তারা বলবে, আমরা নামাজি ছিলাম না। ' (সূরা মুদ্দাসসির, আয়াত-৪২-৪৩)। আর রোজ হাশরে নামাজের মাধ্যমেই হিসাব-নিকাশ শুরু হবে। যার নামাজ সঠিক হবে তার অন্যান্য আমলও সঠিক বলে বিবেচিত হবে। আর যার নামাজ অসুন্দর হবে তার অন্যান্য আমলও অসুন্দর বলে গণ্য হবে। নামাজ তরককারী ব্যক্তি ইসলামি জীবন থেকে বঞ্চিত এবং তার জীবনযাপন কাফেরের জীবনযাপনের মতোই। এ মর্মে রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'বান্দা ও কুফরের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হলো নামাজ ত্যাগ করা। ' (মুসলিম, মেশকাত)। হজরত উবাদা ইবনে সামির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'রসুল (সা.) আমাদের সাতটি অসিয়ত করেন, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি কাজ হলো- তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক কর না। যদিও তোমাকে টুকরা টুকরা করে ফেলা হয় বা অগি্নকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হয় আর ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ কর না। কেননা যে ইচ্ছা করে নামাজ ছেড়ে দেয় সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়।
APKFab.com и ссылка для скачивания этого приложения на 100% безопасны. Все ссылки для загрузки приложений, перечисленных на APKFab.com, получены из Google Play Store или предоставлены пользователями. Для приложения из Google Play Store APKFab.com не будет вносить в него никаких изменений. Для приложения, предоставленного пользователями, APKFab.com проверит безопасность его подписи APK перед его выпуском на нашем сайте.