আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত পাঠকগন, আশা করছি ভালো আছেন। সূফিবাদেের মূল লক্ষ কুন আরাফা নাফসাহু ফাকাদ্ব আরাফা রাব্বাহু নিজেকে চিনো, নিজেকে চিনলে তুমি তোমার রব কে চিনতে পারবে। এই শিক্ষা দিয়ার জন্য পৃথিবীতে আগমন করেছেন অনেক নবী রাসুল (দ.) ও ওলী-আবদালগন। তাদের জীবনকর্ম, বাণী, উপদেশ প্রচারে এই মহতী উদ্দ্যেগ নিয়েছি। বিন্দু পরিমান উপকৃত হলে উদ্দ্যেগ সার্থক হবে নচেৎ অসার্থক। মুসলমান হিসেবে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত ঘটনা ও বাস্তব কাহিনী আমাদের জেনে রাখা দায়িত্ব। কারবালার কাহিনী তেমনি একটি আলোচিত ঘটনা। মহানবীর (সাঃ) প্রিয় দুই নাতি ছিলেন ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন। কিন্তু নবীজীর আদরের নাতি ইমাম হুসাইন –কে ইয়াজিদ বাহিনী হত্যা করে এই কারবালার ময়দানে। মুহররম মাসে সংঘটিত ইমামের এই শাহাদাত কেয়ামত পর্যন্ত সমস্ত মুসলমানকে কাঁদিয়ে যাবে। ১০ মহররম বা আশুরা দিবসে কারবালা প্রান্তরে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছিল। হযরত ইমাম হোসাইন (আ.) ছিলেন সম্মান, দয়া, বীরত্ব, শাহাদত, মুক্তি ও মহানুভবতার আদর্শ। তাঁর আদর্শ মানবজাতির জন্য এমন এক ঝর্ণাধারা বা বৃষ্টির মত যা তাদের দেয় মহত্ত্বম জীবন, গতি ও আনন্দ। মানুষের জীবনের প্রকৃত মর্যাদা ও প্রকৃত মৃত্যুর সংজ্ঞাকে কেবল কথা নয় বাস্তবতার মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়ে অমরত্ব দান করে গেছেন এই মহাপুরুষ। বিশেষ করে আল্লাহর পথে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও শাহাদাতকে তিনি দিয়ে গেছেন অসীম সৌন্দর্য। কারবালার মহাবিপ্লবের রূপকার ইমাম হোসাইন (আ.) মানবজাতির ওপর ও বিশেষ করে প্রকৃত মুমিন মুসলমানদের ওপর যে গভীর প্রভাব রাখবেন সে সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন স্বয়ং বিশ্বনবী (সা.)। তিনি বলেছেন, নিশ্চয়ই প্রত্যেক মু'মিনের হৃদয়ে হোসাইনের শাহাদতের ব্যাপারে এমন ভালবাসা আছে যে, তার উত্তাপ কখনো প্রশমিত হয় না। (মুস্তাদরাক আল-ওয়াসাইল, খণ্ড-১০, পৃষ্ঠা-৩১৮) ইমাম জাফর আসসাদিক্ব (আ.) বলেছেন, আমাদের তথা রাসূল (সা.)'র আহলে বাইতের ওপর যে জুলুম করা হয়েছে তার কারণে যে শোকার্ত, তার দীর্ঘশ্বাস হল তাসবীহ এবং আমাদের বিষয়ে তার দুশ্চিন্তা হল ইবাদত এবং আমাদের রহস্যগুলো গোপন রাখা আল্লাহর পথে জিহাদের পুরস্কার বহন করে। এরপর তিনি বললেন, নিশ্চয়ই এ হাদীসটি স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখা উচিত। হযরত ইমাম হোসাইন (আ.) কেবল জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও মুক্তিকামী মানুষেরই আদর্শ ছিলেন না, সর্বোত্তম জিহাদ তথা আত্ম-সংশোধন ও পরিশুদ্ধিরও মূর্ত প্রতীক। অন্যদেরকে সৎকাজের দিকে ডাকার ও অসৎ কাজে নিষেধ বা প্রতিরোধের শর্ত হল, সবার আগে নিজেকেই পরিশুদ্ধ করা। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দৌহিত্র, হজরত ইমাম হোসাইন (রা:) আশুরার দিনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ইয়াজিদ সৈন্য বাহিনীর হাতে কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন। ঘটনাটি ৬১ হিজরীর ১০ই মুহাররম সংঘটিত হয়েছিল। এ মর্মান্তিক ঘটনাটি এতই লোমহর্ষক ও হৃদয় বিদারক যে, সারা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান আজো তা ভুলতে পারেনি-পারবেও না। কিন্তু মাতম করলেই এ দিনের কর্তব্য শেষ হওয়ার নয় বরং আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে, অনাচারের বিরুদ্ধে এবং পাপাচারে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে এগিয়ে যেতে হবে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজে। আশাকরি “কারবালায় হোসাইনের ঘটনা” শিরোনামের এই অ্যাপটি ব্যাবহার করে আপনারা প্রাত্যাহিক জীবনে অনেক উপকৃত হবেন এবং আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের ব্যাবহার করার সুযোগ করে দিবেন। আপনার প্রদত্ত পজিটিভ রেটিং আমাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এবং অন্য ইউজারদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। *******************ধন্যবাদ ।************************** বিঃ দ্রঃ এই অ্যাপ সম্পর্কে আপনার গুরুত্বপূর্ণ অভিমত আমাদের একান্ত কাম্য। ইমেইলের মাধ্যমে আপনার পাঠানো অভিমতের ভিত্তিতেই এই অ্যাপের উন্নয়ন ও সংশোধনে আমরা জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
Читать далее
Особенности কারবালা ময়দানের আলোচিত মর্মান্তিক ঘটনা
APKFab.com и ссылка для скачивания этого приложения на 100% безопасны. Все ссылки для загрузки приложений, перечисленных на APKFab.com, получены из Google Play Store или предоставлены пользователями. Для приложения из Google Play Store APKFab.com не будет вносить в него никаких изменений. Для приложения, предоставленного пользователями, APKFab.com проверит безопасность его подписи APK перед его выпуском на нашем сайте.